টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালনের পর ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) সভাপতি পদ থেকে গত ১ জুলাই পদত্যাগ করেন শশাঙ্ক মনোহর। এরপর থেকেই খালি রয়েছে আইসিসির এই শীর্ষ পদটি। সেই শূণ্যস্থান পূরণে নতুন সভাপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র জমা নেয়া শুরু করে ক্রিকেটের অভিভাবক এই সংস্থাটি।
১৮ ই অক্টোবর এই পদের জন্য মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল আইসিসি। শেষ পর্যন্ত কতজন মনোনয়ন দাখিল করেছিল তা স্পষ্ট করেনি ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকিনফোর দেয়া তথ্য মতে এখন পর্যন্ত সভাপতি পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে ও বর্তমান অন্তর্বর্তী আইসিসির চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজা। যদিও এর আগে বেশ কয়েকটি নাম শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত এই দুজনই সভাপতি পদের জন্য এগিয়ে রয়েছেন।
সিঙ্গাপুর ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খাওয়াজা, ২০০৮ সাল থেকে আইসিসির বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করে আসছেন। প্রথমে আইসিসির প্রতিনিধি এবং পরে সহযোগী সদস্য দেশগুলোর সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি। ২০১৭ সালে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে আইসিসির ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এমনকি চলতি বছরের জুনে শশাঙ্ক মনোহর পদত্যাগ করার পর আইসিসি আবারও খাওয়াজাকে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান হিসাবে বেছে নেয়া হয়। বর্তমানে অন্তবর্তীকালীন ডেপুটি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
অন্যদিকে বার্কলে ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের (এনজেডসি) পরিচালক হিসাবে আইসিসির বোর্ডে যোগদান করেছিলেন। পরে ২০১৬ সালে তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।
খাওয়াজার মতো শান্তশিষ্ঠ স্বভাবের বার্কলে তাঁর বোর্ডের সহকর্মীদের ভেতর বেশ সম্মানিত। ২০১৯ সালে মনোহর আইসিসির শাসন কার্য পর্যালোচনা করার জন্য বার্কলিকে অন্যতম সদস্য নির্বাচিত করে একটি কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করেছিলেন।
তবে এ দুজনের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন তা এখনি বলা যাচ্ছে না। কেননা পেশায় আইনজীবি খাওয়াজা এবং বার্কলি উভয়েরই চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে। আইসিসি বোর্ডে জনপ্রিয় এই দুই প্রশাসক তাদের দূঢ় মতামতের জন্যও বেশ সুপরিচিত। সেক্ষেত্রে দুজনের মধ্যকার যে কোন একজন ভোটের মাধ্যমেই আইসিসির সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন।
2024 @ Gameon