বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিলো সিরিজ জয়ের। কিন্তু পারলেন না মাহমুদউল্লাহরা। স্বাগতিকদের কাছে ৮ উইকেটে হেরে গেলেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। যদিও এখনো সুযোগ আছে সিরিজ জয়ের। আগামী ১৩ নভেম্বর নাগপুরে জিততে পারলেই প্রথমবারের মতো ভারতের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বপ্নপূরণ হবে বাংলাদেশের।
মূলত আগে ব্যাটিং করাই কাল হলো বাংলাদেশের। ব্যাটিং বান্ধব পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে রাজকোটের সৌরাষ্ট্র স্টেডিয়ামের। শুরুতে ফিল্ডিং নেওয়ার কারণ হিসেবে রোহিত জানান, পরে শিশির একটা ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে দাঁড়াতে পারে এই ম্যাচে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও টসের সময় জানিয়েছিলেন, টস জিতলে তিনিও শুরুতে বোলিং নিতেন! তাই বলাই যায় টস হারটাই ব্যবধান গড়ে দিলো।
জয়ের জন্য ভারতকে ১৫৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলো বাংলাদেশ। রাজকোটের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে এই রান খুব সহজেই তুলে নিলো স্বাগতিকরা। মাত্র ১৫.৪ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে সহজেই ম্যাচটি জিতে নেয় রোহিতের দল। এই জয়ে সমতায় ফিরেছে ভারত। আগামী ১৩ নভেম্বর নাগপুরে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি তাই অলিখিত ফাইনালে রূপ নিয়েছে। ওই ম্যাচটি যারা জিতবেন তাদেরই হবে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শিরোপা।
বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৪ রানের জবাবে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকে ভারত। নিজের একশোতম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে আলো ছড়ালেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিম শর্মা। পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোহেব মালিক (১১১ ম্যাচ) পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে একশোতম ম্যাচ খেললেন রোহিত। এই ম্যাচে তার অনবদ্য ৮৫ রানের সৌজন্যেই সহজ জয় পায় ভারত। ৪৩ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় রোহিত তার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।
রোহিত ছাড়াও শেখর ধাওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রানের ইনিংস। এছাড়া কে এল রাউলের ৮ রান এবং শ্রেয়াস আইয়ার ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবই ছিলেন সবচেয়ে সফল বোলার। প্রথম দুই ওভারে মার খেলেও ঘাবড়ে যাননি ২০ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার। পর পর দুই ওভারে শেখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মার উইকেট তুলে নেই আমিনুল। সবমিলিয়ে ৪ ওভার বল করে ২৯ রান খরচায় আমিনুল দুটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে রাজকোটের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে মাত্র ১৫৩ রান তুলতে সমর্থ হয় বাংলাদেশ। অথচ শুরুটা ছিলো দূর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতে নাঈম শেখ ও লিটন দাস মিলে তুলেছিলেন ৬০ রান। তাও আবার মাত্র সাত ওভারে। অষ্টম অভারে লিটন দূভাগ্যজনক রান আউট হলে ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার। আগের ম্যাচে দূর্দান্ত খেলা মুশফিক আউট হন ব্যক্তিগত ৪ রান নিয়ে।
বাংলাদেলে হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন নিজের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা নাঈম শেখ। ৩১ বলে তিনি ৩৬ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৩০ ও সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। ওপেনিংয়ে নামা লিটন দাস দুইবার জীবন পেয়েও আউট হয়েছেন মাত্র ২৯ রানে। শেষ দিকে বিপ্লব ও মোসাদ্দেকের দৃঢ়তায় বাংলাদেশের স্কোর থামে ১৫৩ রানে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে চায়াল ২৮ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ম্যাচের পর খলনায়কে পরিণত হওয়া খলিল আহমেদ আজকেও ছিলেন খুব বেশি ব্যয়বহুল। ৪ ওভারে একটি উইকেট নিলেও দিয়েছেন ৪৪ রান। একটি করে আরও উইকেট নেন চাহার ও ওয়াশিংটন।
2024 @ Gameon