রুবেল হোসেন সাদা পোশাকে একেবারেই সাদামাটা রুবেল হোসেনের ক্যারিয়ার। সেটা যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে, তেমনি ঘরোয়া ক্রিকেটেও। অতীত ভুলিয়ে পঞ্চম রাউন্ডে ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্সে ৫১ রান খরচায় তার শিকার ৭ উইকেট।
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) পঞ্চম রাউন্ডে রাজশাহীর মুখোমুখি হয়েছিলো খুলনা। সোমবার এই ম্যাচের তৃতীয় দিনের সকাল থেকেই মিরপুরের ২২ গজে আগুন ঝরান খুলনার পেসার রুবেল।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজশাহী-খুলনার প্রথম দিনের খেলা হয়নি। রবিবার দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে মাত্র ১২ ওভার। তৃতীয় দিনে রুবেল তাণ্ডবে মাত্র ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে আট নম্বরে নামা সানজামুল ইসলামের (৪৮) ব্যাট থেকে। এছাড়া ওপেনার মিজানুর রহমান খেলেছেন ৪৩ রানের ইনিংস।
জবাবে খেলতে নেমে রাজশাহীর পেসার ফরদার রেজার বোলিংয়ে খুব বেশি করতে পারেনি খুলনাও। ৫০ রান লিড নিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৫১ রান। দলীয় ১০ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে খুলনার। এনামুল হক ৭ রানে বিদায় নেওয়ার পর রবিউল ইসলামও (১২) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।
তৃতীয় উইকেটে অমিত মজুমদার ও তুষার ইমরান মিলে ৯৬ রানের জুটি গড়ে পথে ফেরান খুলনাকে। তুষার ইমরান ৫৮ রান করে যখন আউট হন, দলীয় স্কোর তখন ১৪১। স্কোরে আর ৪ রান যোগ হতেই অমিতও সাজঘরে ফেরেন ৫৯ রান করে। ছয় নম্বরে নামা নাহিদুলের অপরাজিত ৩৩ রানে শেষ পর্যন্ত ২০১ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় খুলনা।
রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে ৪৮ রানে তুলে নেন ৬ উইকেট। এছাড়া মোহর শেখ ও মুক্তার আলী দুজনই নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
৫০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রাজশাহী। ৬১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান সংগ্রহ করতেই দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ম্যাচ রেফারি। যদিও খেলার একঘন্টা বাকি ছিলো। কিন্তু ম্যাচটি নিশ্চিত ড্রয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়াতে দুই দলের অধিনায়ক ড্র মেনে নেয়। দ্বিতীয় ইনিংসে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে ওপেনার অভিষেক মিত্রর ব্যাট থেকে। এছাড়া মুক্তার আলী ৩৯, ফরহাদ হোসেন ২৮ ও সাব্বির রহমান খেলেন ২৫ রানের ইনিংস।
খুলনার বোলারদের মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নেন পেসার আব্দুল হালিম। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই রুবেলের ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জেতেন রুবেল হোসেন।
2024 @ Gameon