সদ্য শেষ হওয়া প্রেসিডেন্সি কাপের ফাইনালে ৫ উইকেট নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন মাহমুদউল্লাহ একাদশের উদিয়মান পেসার সুমন খান। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নজর কেড়েছেন সকলের।
টুর্নামেন্টের শুরুতে নাজমুল একাদশের রিজার্ভ বেঞ্চে থাকেলও মাহমুদউল্লাহ একাদশের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ইনজুরিতে পড়ায় তাকে মাহমুদউল্লাহ একাদশে সুযোগ দেন নির্বাচকরা। প্রেসিডেন্সি কাপের শুরুতে তাতে অংশগ্রহণ এনেকটাই অনিশ্চিত ছিল এই পেসারের। কিন্তু পাশার দান উল্টে দিয়ে ফাইনালে বল হাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সকলকেই।
বল হাতে প্রথম দুই স্পেলে ৬ ওভারে ৩ উইকেট। ফিরতি স্পেলে আরও ২টি। সব মিলিয়ে ৩৮ রানের খরচায় ৫ উইকেট বাগিয়ে ফাইনালের পুরো আলোকবর্তিকাটিই নিজের ওপর টেনে নিয়েছিলেন এই পেসার।
কিন্তু মজার বিষয়টি হল ডান হাতি এই পেসারের একটা সময় কোনো কথাই ছিল না ক্রিকেটার হবার।
সুমনের শুরুটা ২০১৬ সালে। পেসার হান্টের বিজ্ঞাপন দেখে প্রতিযোগিতায় নাম লেখান মানিকগঞ্জের এই তরুণ পেসার। দ্রুত গতিতে বল করে সুনাম এবং নজর কেড়েছিলেন সকলেরই। কিন্তু বাঁধ সাধে বিপ টেস্ট। সেখানে মাত্র ৮ তোলায় সেবার বাদ পড়তে হয়েছিল সুমনকে।
এরপর ২০১৬ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন সুমন। সে সময় ফের স্বপ্ন জাগে ক্রিকেটার হবার। তাই পড়ার পাশাপাশি টুকটাক ক্রিকেট খেলা ও অনুশীলন শুরু করেন। হঠাৎ জানতে পারেন, বিকেএসপিতে ডিগ্রিতে ভর্তি হবার সুযোগ রয়েছে। আর তখন থেকেই পরিবারকে মানানোর মিশনে নেমে যান তরুণ এই পেসার।
বাবা সুলতান আলী খানের তিন বছরের ভেতর ক্রিকেটার হয়ে উঠার চ্যালেঞ্জ মেনে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে সুমন ভর্তি হন বিকেএসপির ডিগ্রিতে। সেখান থেকেই শুরু তার পথচলা।
এরপর ধীরে ধীরে নিজের যোগ্যতার বলে প্রথম বিভাগ, প্রিমিয়ার লিগ, প্রথম শ্রেণি এবং সর্বশেষ হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের সদস্য হয়েছেন এই পেসার। তবে এখনই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না ২১ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার। ছুঁতে চান সাফল্যের চূড়া। খেলতে চান জাতীয় ক্রিকেটে।
সুমন বলেন, 'আসলে যেদিন থেকে নর্থ সাউথ বা পড়াশোনা ছেড়ে ক্রিকেটে চলে আসি সেদিন থেকে আমার সব মনোযোগ ক্রিকেটেই। ক্রিকেট নিয়েই এগিয়ে যাবো, আশা আছে টপ লেভেল খেলার। ইন শা আল্লাহ একদিন খেলবো।'
2024 @ Gameon