১৯০ রানের লক্ষ্য। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে রেকর্ডই গড়তে হতো বাংলাদেশকে। পাহাড়টা টপকাতে পারেনি সালমারা। স্বাগতিকদের কাছে ৮৬ রানে হেরে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় হওয়ার পথে সালমারা।
বৃহস্পতিবার সর্বনাশটা হয়েছে শুরুতেই। ক্যানবেরায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে এসে শুরু থেকেই চালিয়ে খেলা দুই অজি ওপেনার দেড়শর জুটি এনে বোঝা চাপান। শেষঅবধি নির্ধারিত ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান তোলে টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
কখনোই অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি না হওয়া বাংলাদেশের মেয়েরা জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রানের বেশি এগোতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন ফারজানা হক।
প্রায় দশ ছুঁইছুঁই রানরেটের পেছনে ছুটে শুরু থেকেই রানের জন্য ধুঁকেছে বাংলাদেশ। সঙ্গে নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। উদ্বোধনীতে শামীমা সুলতানা ৯ বলে ১৩, তার সঙ্গী মুর্শিদা খাতুন ১৬ বলে ৮, সানজিদা ইসলাম ৭ বলে ৩, রুমানা আহমেদ ১২ বলে ১৩ রানে ফেরেন।
ফারজানা হক যা একটু লড়েছেন। কিন্তু তার ৪ চারে ৩৫ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি টি-টোয়েন্টির চাহিদা মেটাতে পারেনি। শেষ ওভারে তিন উইকেট হারানোর আগে কেবল একশ পেরিয়ে যেতে পারে শূন্য রানে ফেরা সালমার দল।
এর আগে দুই ওপেনার অ্যালিসা হেইলি ও বেথ মোনি উদ্বোধনীতে তুলে ফেলেন ১৫১ রান, ১৭ ওভারে। হেইলি যখন ফিফটি ছোঁন, অজিদের দলীয় সংগ্রহ ৭১।
আগাগোড়াই মারমুখী হেইলি ফিরেছেন ৮৩ করে। ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ বলের ঝড়ো ইনিংস। সালমার বলে সানজিদাকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ডানহাতি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।
মোনি শেষপর্যন্ত থাকেন। অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস তার। ৯ চারে ৫৮ বলে সাজানো। তার সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ৩৮ রানের জুটি গড়া অ্যাশলেইঘ গার্ডনার অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ২২ রানে, তার ব্যাটে এক ছক্কার সঙ্গে ৩ চারের মার।
খাদিজাতুল কুবরা ২ ওভারে ২৯ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে। খরুচে দিন গেছে প্রায় সবারই। জাহানারা ও সালমা ৪ ওভারে দিয়েছেন যথাক্রমে ৪০ ও ৩৯ করে, সালমার দখলে একমাত্র উইকেটটি।
রুমানা কিছুটা কম রান বিলিয়েছেন, ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩০ রান। ফাহিমা ৩ ওভারে ২৩, নাহিদার ৩ ওভারে খরচ ২৬ রান।
2024 @ Gameon