ব্যাট হাতে এর আগেও কয়েকবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন সূর্যকুমার যাদব। জাতীয় দলে জায়গা না হলেও আইপিএল এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে জাত চিনিয়েছেন দারুণভাবে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচেও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দলকে জিতিয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়াম অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরুকে ৫ উইকেটে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে কাইরন পোলার্ডদের মুম্বাই। এই জয়ের পথে ৩ ছক্কা এবং ১০ চারের সাহায্যে মাত্র ৪৩ বলে অপরাজিত ৭৯ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা সূর্যকুমার।
বেঙ্গালুরুর ১৬৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে সূর্যকুমারের ব্যাটিং তান্ডবে ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় মুম্বাই। ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ছাড়া ১৯ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার ইশান কিশান।
বেঙ্গালুরুর পক্ষে ২টি করে উইকেট শিকার করেন ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সিরাজ এবং লেগ স্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল। আর একটি উইকেট নেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্রিস মরিস।
ম্যাচটির শুরুতে টস জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের ভারপ্রাপ্ত দলপতি পোলার্ড। এরপর খেলতে নেমে ওপেনার দেবদূত পাদিকালের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই। একটি ছক্কা এবং ১২টি চারের সাহায্যে ৪৫ বলে ৭৪ রান করেন ২০ বছর বয়সী পাদিকাল।
২৪ বলে ৩৩ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস উপহার দেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান জস ফিলিপ। মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। যেখানে এক ওভার মেইডেন দেন এই ডানহাতি। আর একটি করে উইকেট নেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট, লেগ স্পিনার রাহুল চাহার এবং অধিনায়ক পোলার্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৬৪/৬ (২০ ওভার) (পাদিকাল ৭৪, ফিলিপ ৩৩; বুমরাহ ৩/১৪, পোলার্ড ১/৫)
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স: ১৬৬/৫ (১৯.১ ওভার) (সূর্যকুমার ৭৯*, কিশান ২৫; সিরাজ ২/২৮, চাহাল ২/৩৭)
2024 @ Gameon