করোনাকালে স্থবির আছে পুরো দেশই। সেখানে ক্রিকেটতো বিনোদনের একটি মাধ্যম মাত্র। তবে মাঠের ক্রিকেট বন্ধ থাকলেও ক্রিকেটাররা হাত পা গুটিয়ে বসে নেই। যে যার মতো করে নিজেদের ফিট রাখতে সামন্য সুযোগটিও কাজে লাগাচ্ছেন। গত মার্চে বিশ্বকাপ খেলে আসার পর ক্রিকেট থেকে এমনিতেই বিরতিতে ছিলেন নারী ক্রিকেটাররা। করোনার কারনে সেই বিরতি আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে ফাহিমাদের।
নারী দলের অলরাউন্ডার ফাহিমা খাতুন। দীর্ঘদিন ধরেই জাতীয় দলে খেলছেন। করোনার এই সময়টাতে ক্রিকেটবিহীন জীবনটা একেবারেই ভালো কাটছে না তার। দীর্ঘদিন ঢাকার বাসায় গৃহবন্দি হয়ে থাকলেও ঈদের আগে মাগুরা যান ফাহিমা। কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছেন এই ক্রিকেটার। এদিন মাগুরা স্টেডিয়ামের ইনডোরে ঘন্টাখানেক ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন এই অলরাউন্ডার।
ফাহিমা জানালেন সেই কথা, ‘আমাদের মাগুরা স্টেডিয়ামে সম্প্রতি ইনডোর ফেসিলিটিজ যুক্ত হয়েছে।
সব ক্রিকেটারের ইনডোর ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফলে ওখানে একদমই কেউ ছিল না। আমাদের সাধারণ সম্পাদককে ফোন করে আমি অনুশীলন করার আগ্রহ প্রকাশ করি। উনি বললো যেহেতু খালি আছে, তুমি গিয়ে অনুশীলন করতে পারো। সেই হিসেবেই আসলে আজকে গিয়েছিলাম। সিরিয়াস কোন অনুশীলন না করলেও এখানে নিয়মিত ব্যাটিং অনুশীলনটা করবো। হয়তো বোলার হিসেবে তেমন কাউকে পাবো না। তবুও ২/১ জন যাদের পাই তাদের নিয়েই অনুশীলন করবো।
ঈদের আগের দুই মাস ঢাকার বাসাতে গৃহবন্দি হয়ে থাকলেও ওখানেও ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন ফাহিমা, ‘আমি ঈদের আগ পর্যন্ত ঢাকাতেই ছিলাম। ঈদের আগে মাগুরা এসেছি। ঢাকায় থাকতে বাসাতেই টুকটাক ওয়ার্মআপ করে ফিটনেসটা ঠিক রাখার চেষ্টা করেছি। বাসার করিডোরে বোলিং করেছি। বাসায় থেকে আসলে এর চেয়ে বেশি কিছু সম্ভব নয়। চেষ্টা করছি ফিটনেসটা মেনটেইন করছি। করোনার কারনে আমাদের ফিটনেসের ঘাটতি হবে, এটা নিশ্চিত। তারপরও যতটুকু প্রস্তুত থাকতে পারি।’
ক্রিকেট ছাড়া কতটা অসহায় ফাহিমারা সেটাই উঠে এলো জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের কণ্ঠে, ‘ব্যাট-বল ছাড়া সত্যিই আমরা অচল। যখন ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম, তখন মনে হতো পরিবারকে সময় দিতে পারি না। গত কয়েক মাসে বুঝতে পারছি, ক্রিকেট আমাদের রক্তে কীভাবে মিশে আছে। ক্রিকেট ছাড়া, সত্যিই কঠিন সময় পার করছি আমরা। তবে কিছুই করার নেই। বাস্তবতা মেনে ভালো সময়ের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে।
2024 @ Gameon