শনিবার সন্ধ্যায় জহুর আহমেদের ২২ গজে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালেল ড্রেস রিহার্সাল বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের ম্যাচটি। এই ম্যাচটি জিতে ফাইনালের আগে জয়ের অভ্যাসটা ধরে রাখতে চায় বাংলাদেশ। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা শফিউল ইসলাম বলেছেন, ‘প্রস্তুতি আমাদের ভালো। কালকের (শনিবার) ম্যাচটা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভালো খেলতে পারলে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। জিততে পারলে এই জয়ের অভ্যাসটা আমাদের ফাইনাল খেলার জন্য সহায়তা করবে।’
আফগান ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের তেমন কঠিন পরীক্ষায় না পড়তে হলেও ব্যাটসম্যানদের সংগ্রাম করতে হয় রশিদ-নবী-মুজিবদের বিপক্ষে। শফিউলের আশা ভুলগুলোথেকে শিক্ষা নেবে আমাদের ব্যাটসম্যানরা, ‘আমরা যদি আমাদের ভুলগুলো শুধরাতে পারি। যার যার কাজটা ঠিক মতো করতে পারি। নিজেরা শতভাগ দিতে পারলে অবশ্যই ওদের হারানো সম্ভব।’
আফগানিস্তানের রিষ্ট স্পিনাররা যে কোন উইকেটেই ভয়ঙ্কর। এরাই টার্ণিং উইকেট পেলে হয়ে উঠবেন আরও ভয়ঙ্কর। তাইতো বাংলাদেশ স্পোটিং উইকেটের দিকেই ঝুঁকতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পেসারদেরই গুরুত্বপূর্ণ রোল প্লে করতে হবে। এ প্রসঙ্গে শফিউল বলেছেন, ‘বোলিং আক্রমণে কাদের প্রাধান্য থাকবে এটা টিম ম্যানেজমেন্ট ভালো বলতে পারবে। পেসরারা খেলুক বা স্পিনাররা সবারই দায়িত্ব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। সবারই উচিত হবে নিজের শক্তির জায়গায় থেকে এবং শক্তির বাইরে না গিয়ে ঠিক জায়গাটায় বল করা। তাহলেই আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানদের আটকে রাখা সম্ভব হবে।’
৯ বছরের লম্বা ক্যারিয়ারেও জাতীয় দলে নিজেকে থিতু করতে শফিউল। প্রতিনিয়ত ইনজুরি ও পারফরম্যান্সের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন। ৯ বছরের ক্যারিয়ার শেষেও ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে শফিউল, নিজেও ভাবেন না সেই কথা! এই মুহুর্তে নির্ভার থেকেই সামনে আসা চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে প্রস্তুত থাকেন তিনি। কিভাবে লম্বা এই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন শফিউল, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘নিয়মিত মাঠে আছি এটা ভাবি। এটা করলে পারফরম্যান্স ভালো হয়। চাপও কম পড়ে। সবচেয়ে বড় কথা নির্ভার থাকার চেষ্টা করি।’
শফিউলের টানা খেলতে না পারায় অবশ্য চোট ছিল বড় বাধা। জাতীয় দলের ডাক পেলেই কোন না কোন ইনজুরিতে ছিটকে যাবেনই তিনি। তবে শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে খেলা আসা শফিউল ইনজুরি ছাড়াই ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছেন। কিভাবে সম্ভব হচ্ছে, ‘আমি চেষ্টা করছি কিভাবে ইনজুরি মুক্ত থাকা যায়। যখনই ফিরি, দেশের জন্য যেন কিছু করতে পারি। ভালো কিছু দিতে পারি, নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি। আর অবশ্যই ইনজুরিতে যাতে না পড়ে সেই চেষ্টাও থাকে।’
৯ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে অনেক কিছু দেখা শফিউল খারাপ সময়ের জন্য সর্বদা প্রস্তুত আছেন। যেন খারাপ সময়টা দ্রুত কাটিয়ে আবারো সুসময়ে ফিরতে পারেন, ‘ভালো অবস্থায় সব বলেই স্বচ্ছন্দ অনুভব করি। ভালো দিন যাচ্ছে, পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে। এটাইতো শেষ নয়। খারাপ সময় আসলে তখনো যেন ভালোভাবে কামব্যাক করতে পারি এর জন্যও মানসিক প্রস্তুতি রাখি।’
2024 @ Gameon